ধুলোমাখা ঘরেই মিলল রত্নের সন্ধান! কলকাতার বুকে হদিশ পাওয়া গেল রৌপ্যমুদ্রার। সিন্দুকের মধ্যে রাখা মুদ্রা দেখে অনেকেই মোহর ভেবেছিলেন। যদিও পরে দেখা গেল মুদ্রাগুলো ইংরেজ আমলের, রুপোর তৈরি ২২টি মুদ্রাই সিন্দুকবন্দী হয়েছিল। মুদ্রাগুলি ১৯৩১ সালের। মঙ্গলবার, ২১শে জুন মোহর উদ্ধারের খবরে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বিদ্যাসাগর কলেজের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায় জানান, “এগুলো জাতীয় সম্পদ। যা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।”
প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল গুপ্তধন উদ্ধার হওয়া কুঠুরিটি খুঁজে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রেকর্ড রুমের দলিল দস্তাবেজে ঠাসা ঘর, অন্ধকার ভ্যাপসা গন্ধ। তার মাঝেই রহস্যময় এক সিন্দুক। চাবিও নিখোঁজ। সিন্দুক খোলার প্রশিক্ষিত কর্মীদের নিয়ে সেঘরে ঢুকলেন আদালতের রেজিস্ট্রার কৌশিক কুণ্ডু। বহুক্ষণের চেষ্টায় সিন্দুক খোলা হল, ভিতরে এক গোপন কুঠুরি। সেখানে দুটি বাক্স। বাক্স খুলতেই, ভিতরে রাখা মুদ্রা। ২২টি রুপোর মুদ্রা। যার ঐতিহাসিক মূল্য অসীম। কারও কারও মতে মুদ্রাগুলোর দাম হতে পারে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা। মুদ্রার সঙ্গেই ছটি বিভিন্ন সাইজের সিলমোহর মিলেছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলোকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে সুরক্ষিতভাবে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল।