কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে হাজির হতে বলা হওয়ার পরে, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন যে শীঘ্রই জওহরলাল নেহেরুর স্মৃতিসৌধও সংস্থা থেকে নোটিশ পাবে।
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীকে বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নোটিশ দিয়েছে। মামলাটি ২০১১-১২ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘আজ সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে ইডি দ্বারা তলব করা হয়েছে। তারা আমাদের থেকে সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত পৌঁছেছে। মামলাটি ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে সম্পর্কিত যেটি নেহেরু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন। আমরা শীঘ্রই এটি দেখতে পাব যে নেহেরুর স্মৃতিসৌধের উপরে ইডির নোটিশ সাঁটানো হয়েছে’।
সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রীকেও লোকপাল বিলের আওতায় থাকা উচিত। ‘আগে, আমি প্রধানমন্ত্রীকে লোকপাল বিলের আওতায় আনার বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু এখন বলতে পারছি না। আগের প্রধানমন্ত্রী আলাদা ছিলেন। এখন যদি আমরা রেহাই না পাই, তাহলে আমরা কেন আপনাকে রেহাই দেব’? প্রশ্ন তোলেন শিবসেনা সাংসদ। বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের অবস্থান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘আমরা নিজেদের দলের চেয়ে বেশি বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসের পক্ষে ওকালতি করি। আমরা কংগ্রেসের উকিল। আমি এবং শরদ পাওয়ার চিন্তিত যদি কংগ্রেস না থাকে তাহলে দেশে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেবে কে। যখন বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল কংগ্রেস সবসময়ই পাশে ছিল’।