আর মাত্র কয়েকদিন। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। তবে ব্যতিক্রম একটাই। অন্যান্য বারের মত এবারের ভোটের আগে সেই উত্তাপ বিলকুল উধাও। পাহাড়ের জলহাওয়ার মতোই ভোট-আবহও একেবারেই ফুরফুরে, নির্বিঘ্ন। পাহাড়ে এখন থেকে থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অর্থাৎ কলকাতার সর্বোচ্চ শীত। মাঝে মাঝেই মেঘ এসে সবকিছু স্যাঁতসেঁতে করে দিচ্ছে। তবু আলো ঝলমলে ম্যালে আক্ষরিক অর্থে পা ফেলার জায়গা নেই। জিটিএ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হতেই পাহাড় ফাঁকা হবে বলে যারা আশঙ্কা করছিল, তাদের ভুল ভেঙেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা প্রণীত গুরুং বলছিলেন, “ভোট মানে পাহাড়ে একটা আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। সেটাই ভয়। ১০৫ দিনের ভয়াবহ স্মৃতি খুব টাটকা তো!” তবে প্রণীত যে আশঙ্কা করছেন, তার কণামাত্রও নেই লাডেন লা রোডের সোয়েটার দোকানের মালিক অশোক তামাংয়ের মনে। দোকানে গিজগিজ করছে ভিড়। প্রশ্নকর্তাকে উত্তরে বললেন, “অনশন কি জমল দাদা! তিনি তো গ্যাংটকে।” বিমল গুরুংয়ের মতিগতি নিয়ে পাহাড়বাসীর একাংশের ভয়ের মেঘ এইভাবেই কেটে গিয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন শেষ হতে চলল। ফলে জিটিএ ভোট যে সময়ে হচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই এই তল্লাটে। তবে ভোট নিয়ে কারও বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কারণ, পাহাড় তো এখন পুজোর বাজারকে হার মানাচ্ছে। ম্যাল রীতিমতো অষ্টমীর শ্রীভূমি! উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। এই উৎসবের মেজাজ, হইচই, কর্মব্যস্ততার মধ্যেই হয়তো শান্তিপূর্ণভাবে মিটে যাবে জিটিএ নির্বাচন। এমনই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।