উত্তর বাংলায় ফের দাঁত ফোটাল কালবৈশাখী। বৃহস্পতিবার মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়েই লণ্ডভণ্ড ধূপগুড়ি ও তুফানগঞ্জের ব্যাপক এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি। উপড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক খুঁটি। এলাকাবাসীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর প্রশাসন। ধূপগুড়ি পুর এলাকা এবং বারঘরিয়া, গাদং-১ ও গাদং-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ঝড়ের ফলে ভেঙে পড়েছে বড়বড় গাছ। উপড়ে গিয়েছে ইলেকট্রিক খুঁটি। একাধিক ইলেকট্রিক পোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। ভুট্টা- পাটখেত সহ ক্ষতি হয়েছে একাধিক জমি ও ব্যাপক ফসলের। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি এই এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নিয়েছেন নিরাপদ স্থানে অন্যের বাড়িতে বা বড় ত্রিপল, প্লাস্টিকের নিচে। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ঢোকার মুখেই উপড়ে পড়েছে বড় গাছ। গ্রামের একাধিক রাস্তার ওপরেও ভেঙে পড়েছে গাছ।
এদিন ফালাকাটা-ধূপগুড়ি সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। অন্যদিকে, বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যাশ্রম স্কুল ময়দানের কাছে রাস্তার ওপর গাছ পড়ে। ওই রাস্তায় একাধিক গাছ রাস্তার ওপর পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।যান চলাচল বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ। এদিকে ধূপগুড়ি ব্লকের খলাইগ্রাম, মোরঙ্গা চৌপথি, বিভিন্ন এলাকাতেও গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবার ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকার ১ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু বাড়ি।পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং ফোনে জানিয়েছেন, প্রায় ৮-১০ টি বাড়ির ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার বলেন, বারোঘরিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে সরকারি গাছ ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পর লুঠের চেষ্টা চলছিল।পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে। সমগ্র ধূপগুড়ি ব্লক এই ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। হাল ফেরাতে নেমে পড়েছে প্রশাসন। তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের একাধিক এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শহর এবং শহর সংলগ্ন অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিলসি ও ছালাপাক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি ও জমি। মৃত্যু হয়েছে গৃহপালিত পশুর। ধান জমি ও ভুট্টা খেতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছ। শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছে এমনই আশ্বাস।