ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এবং সরকার রবিবার ঘোষণা করেছে যে, দেশটি ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝেই ৩০ সদস্যের পশ্চিমা সামরিক জোটের সম্প্রসারণ হতে পারে। উল্লেখ্য ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়াতেই মূলত রাশিয়া তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল।
প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। দীর্ঘ সময় ধরে ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েনের পরই অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া।
ন্যাটো নিয়ে আরও একবার রুশ প্রেসিডেন্টের গলায় হুঁশিয়ারির সুর। পুতিন জানিয়েছেন, ন্যাটো যদি ফিনল্যান্ড বা সুইডেনের ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েন করে তবে মস্কো চুপ করে বসে থাকবে না, যোগ্য জবাব দেবে। সোমবার ক্রেমলিনের তরফে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সামরকি সম্প্রসারণ আমাদের দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেই কারণে এমন কিছু হলে মস্কো চুপ করে বসে থাকবে না। উপযুক্ত জবাব দেবে।” মস্কোর কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের সম্মলনে জানিয়েছেন পুতিন।
পুতিন মনে করেন ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়টি সম্পূর্ণ কৃত্রিম এবং আমেরিকা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে নিজেদের বৈদেশিক নীতিকে শক্তিশালী করতে ন্যাটোকে ব্যবহার করছে, এমনই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া নিউজ। পুতিন বলেন, “একটি দেশ ন্যাটোকে ব্যবহার করে নিজেদের বৈদেশিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে এবং দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত এই কাজ চলছে।
দক্ষতার সঙ্গে এবং আক্রমণাত্মকভাবে এই কাজ করা হচ্ছে।” পুতিনের মতে, আমেরিকার এই নীতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ওপর বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন, ইউরোপের এই দুই দেশও ইউক্রেনের মতো ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।