গত বছরের ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দিয়ে চলে যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মোট আট জনের। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ লখিমপুর খেরি সহিংসতার চার অভিযুক্তের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময়েই আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি কৃষকদের তাড়ানোর হুমকি দিয়ে বিবৃতি না দিলে লখিমপুরের ঘটনা ঘটত না।
লখিমপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছে, ‘উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সমাজে এর পরিণতি বিবেচনায় রেখে একটি সভ্য ভাষা অবলম্বন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত। তার দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দেওয়া উচিত নয় কারণ তাকে তার অবস্থান এবং উচ্চ পদের মর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করতে হবে।’ এখানেই শেষ নয় উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের একটি কুস্তি ইভেন্টে উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদলত। কারণ ওই সময়ে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আদালত বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেছে যে মন্ত্রীদের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়ে কোনও জ্ঞান ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কথা উল্লেখ করে আদালত অভিযুক্ত লাভকুশ, অঙ্কিত দাস, সুমিত জয়সওয়াল এবং শিশুপালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
