সাম্প্রতিককালে বারবারই বির্তকের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাথরস কান্ড থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এবার ফের বিতর্কের শিরোনামে যোগীর পুলিশ।
চন্দৌলির পরে এবারে ফিরোজাবাদের এক বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশি হেনস্থার জেরে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। স্ত্রীর পরিণতি দেখে অসুস্থ হয়ে পড়া বৃদ্ধার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পারিবারিক বিবাদের জেরে গত মাসে ফুরন সিংহ এবং রাধাদেবীর চার ছেলেকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। উত্তরপ্রদেশের টুন্ডলা কারাগার থেকে শনিবারই ছাড়া পেয়েছেন চার ভাই। বিকেলে তাঁদের বাড়ি পরিদর্শনে যায় পুলিশ। ওই বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগ, সে সময় এক জন পুলিশ রাধা দেবীকে ধরে ‘প্রবল ভাবে ঝাঁকুনি’ দেয়। এর পরেই কাঁপতে কাঁপতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাধাদেবী। কিছু ক্ষণ পরে মারাও যান তিনি। স্ত্রীর এমন অবস্থা দেখে রাধাদেবীর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রবিবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শহরের পুলিশ সুপার মুকেশ চন্দ্র মিশ্র বলেন, পাচখেরা পুলিশ থানার অধীনে ওই বাড়িতে শনিবার বিকেলে পুলিশের একটি দল যায়। ছাড়া পাওয়া ভাইদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেই গিয়েছিল পুলিশের দলটি। সেখানে তাদের সঙ্গে পরিবারের লোকেদের বচসা হয়। পুলিশ কর্তাটি জানিয়েছেন, পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বচসার সময় একজন পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে ধরে প্রবল ঝাঁকুনি দেয়। তার পরেই তিনি পড়ে যান এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।