বাড়ছে উদ্বেগ। নিজের শক্তি বাড়াল ‘অশনি’। বিকেলেই সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে তা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পরবর্তী সময়ে দ্রুত জল সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালের বৃষ্টিতে বেহালার ১২৯, ১৩০, ১৩১, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন। অসুবিধার মুখে মানুষজন। বর্ষা এখনও বঙ্গে প্রবেশ করেনি তার আগেই এরকম পরিস্থিতিতে অসুবিধার মুখে সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি, আমফান, ইয়াসের তাণ্ডবে তছনছ হওয়া উপকূল অঞ্চলগুলো সতর্ক হতে শুরু করেছে। সুন্দরবনের একাধিক ব্লকে মাইকিং, গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ মত্স্যজীবীদের। কাঁচা বাড়ি বা বাঁধের উপর বসবাসকারীরা যাতে সময়মতো ফ্লাডশেল্টারে ঢুকে যান, সেই নির্দেশ জারি হয়েছে। প্রায় এক ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকাতেও। সুন্দরবন এলাকার আরও কিছু ছবি। বকখালি, গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ সর্বত্র মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে কলকাতা শহরতলি এলাকাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি থেকে ভারী বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্তভাবে আগামী দু’দিন ধরে চলবে বৃষ্টি। তারই জেরে জমা জলে নাজেহাল স্থানীয় মানুষজন, বিধাননগর পৌরনিগমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড জ্যাংড়া নিকাশি নালার কঙ্কালসার চেহারা চোখে পড়ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকা যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই সমস্ত জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার কমিশনার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের নির্দেশে আগাম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। বিপর্যয়ের মাত্রা অনুযায়ী পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। তবে প্রতিটি বিষয়ে তাদের টিম তৈরি রয়েছে। তাদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন খোদ মুখ্যসচিব।
