ফের বাড়র দূরত্ব? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দু’দিনের বাংলা সফরে পুরোপুরি ব্রাত্য থেকে গেলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেলিকপ্টারে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ঘুরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিএসএফের সরকারি অনুষ্ঠানেও মঞ্চে থাকলেন সুকান্ত-শুভেন্দু। আবার শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশভোজে কিংবা রাতে নিউটাউনের হোটেলে দলের একেবারে কোর গ্রুপকে নিয়ে যে বৈঠক করলেন শাহ, সেখানেও ডাক পেলেন না দিলীপ। শুধু তাই নয়, বিজেপির পুরনো নেতৃত্ব যাঁরা দলের মুখ সেই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যরাও শাহর সফরে কাছে ঘেঁষতে পারলেন না তাঁর।
এদিন শাহ বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, সুকান্ত-শুভেন্দুই আগামীদিনে নেতৃত্বের মুখ। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে অমিত শাহকে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সুকান্তর আগেই শাহকে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। কে আগে পৌঁছয় যেন সেই চেষ্টাই ছিল। শাহ সফরে সর্বত্রই রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা সঙ্গী। তাহলে এবার বঙ্গ সফরে দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের হয়ে সওয়াল করা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে কি নম্বর দিলেন না অমিত শাহ? দিলীপ শিবিরের কাছে এটা পরিষ্কার। মালব্যকে পছন্দ নয়, সিনিয়র লিডার চাই একথা বলেছিলেন দিলীপ। সুকান্তর অভিজ্ঞতা কম বলেও মন্তব্য করেছিলেন। কোর গ্রুপের বৈঠকে মালব্য-সুকান্ত-শুভেন্দুদের রেখেই প্রাধান্য দিলেন শাহ। সফরে কোর কমিটির বৈঠকে তাঁকে না ডাকার বিষয়টি নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে নালিশও জানাতে পারেন দিলীপ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সভাপতি থাকাকালীন যাঁর নেতৃত্বে বাংলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল সেই সফল প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে কেন কোর গ্রুপের বৈঠকে ডাকা হল না। হেলিকপ্টারে শাহর সফরসঙ্গী তিনি ছিলেন না, এ বিষয়ে প্রশ্নে অভিমানের সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। তাঁর বক্তব্য, “আমি হেলিকপ্টারে উঠি না। সবাই এখান থেকে বিমানে যায়। আমি ট্রেনে যাই। ভোট প্রচারের জন্য পার্টি যখন আমায় হেলিকপ্টার দিয়েছিল তখন গিয়েছি। আমি মাটিতেই আছি, দেখেন না সকালে হাঁটি।” শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। ছিলেন সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও অমিত মালব্য, স্বপন দাশগুপ্তরা।