শুনানি শেষ হয়েছে গত বছর ৪ ডিসেম্বর। কিন্তু সমাজবাদি পার্টি নেতার জামিন আটকাতে নানা ধরনের রাস্তা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনই অভিযোগে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালত জানাল, বিচারের নামে দেশে প্রহসন চলছে। সমাজবাদি পার্টি নেতা আজম খানের জামিন মঞ্জুর প্রসঙ্গে এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সপা নেতার বিরুদ্ধে জমি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। জামিনের জন্য তাঁর আইনজীবী এলাহাবাদ হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান। গত কয়েকদিন ধরে মামলার শুনানি চলছিল। শুনানি শেষ হয় গত বছর ৪ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার নতুন করে এই সপা নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে আজম খান সীতাপুর জেলে বন্দি। এই সপা নেতার বিরুদ্ধে আগেও বেশ কয়েকটি মামলা রুজু হয়। প্রতিটি মামলায় জামিন পেলেও একটি মামলায় তাঁর এখনও জামিন মঞ্জুর করেনি এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
যদিও শুনানি শেষে আদালত কোনও রায় ঘোষণা না করায় তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁর মক্কেলের জামিন আটকাতে আর সব ধরনের রাস্তা নিয়েছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, যেভাবে হোক জামিন আটকে দেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালতের দায়িত্ব হল দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শুনানি শেষ হওয়ার পরেও আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। এটাকে বিচারের নামে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না।