উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামের ঘটনা ঠিক যেন প্রকাশ ঝার সিনেমার চিত্রনাট্য। বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে না পেয়ে ছেলেকে তুলে নিয়ে লকআপে মার। পরে এসে অভিযুক্তের বড় মেয়েকে বেদম মারধর করে ঝুলিয়ে দিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ এমনটাই। যেকারণে, চব্বিশ বছর বয়সী নিশা যাদব নামে ওই তরুণীর মৃত্যুর জন্য থানার এক অফিসার–সহ ক’য়েকজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই মামলা করল উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি থানা
জানা গেছে, মৃতা নিশা যাদবের বাবা কানহাইয়া যাদবের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি দাঙ্গায় মদত দেওয়ারও অভিযোগে গুন্ডাদমন আইনে মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নিশার পরিবারের দাবি, রবিবার নিশা এবং তাঁর বোন গুঞ্জা চান্দৌলির মানরাজপুর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তখন পরিবারের অন্য কোনও সদস্য সেখানে ছিলেন না। হঠাৎ পুলিশ এসে তাঁদের বাবা কানহাইয়া যাদবের খোঁজ করেন। তিনি তখন সেখানে ছিলেন না। ছোট ভাই গিয়েছিল, বড় ভাইকে থানা থেকে জামিন করাতে। ঠিক সেইসময়ই পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারপর তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মারধর শুরু করে।
গুঞ্জা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাঁর দিদিকে অন্য একটি ঘরে ঢুকিয়ে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে পুলিশ। সঙ্গে কয়েকজন মহিলা কনস্টেবলও ছিল। বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। তারপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যাতে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মনে হয়। এরপরও পুলিশবাহিনী তাঁদের বাড়িতে আধঘণ্টা ছিল।