মসজিদ থেকে মাইক খোলার ডাক দিয়ে কদিন আগেই মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সুপ্রিমো রাজ ঠাকরে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁর সমর্থকরা মসজিদের বাইরে হনুমান চালিশা পাঠ করবে। প্রতিবাদে তাঁরাও মাইক ব্যবহার করবে যাতে মাইকের যন্ত্রণা সকলে টের পায়। তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, ৪ তারিখ কী হবে আমি জানি না! আজ সেই দিন। আর রাজের ঘোষণা মতো আজ সকাল থেকেই মুম্বই, পুণে সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে খবর আসতে শুরু করেছে যে মসজিদের ভোরের আজান শুরু হওয়া মাত্র বাইরে লোকজন জড়ো হয়ে জোরে জোরে হনুমান চালিশা পাঠ করছে। এমনকী কিছু হাউসিং সোসাইটির বহুতলের থেকেও হনুমান চালিশা পাঠের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আঁচ করে মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের সর্বত্রই পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছিল। ভোরের আজান শুরুর আগেই মসজিদের বাইরে পুলিশ মোতায়েন হতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত কোথাও এই নিয়ে বড় গোলমাল, সংঘর্ষের খবর নেই। কিন্তু ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর এসেছে পুলিশ কয়েকজন এমএমএস অর্থাৎ মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে। মুম্বইয়ে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে নিজে পথে নেমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। অন্যদিকে, গতকালই ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ রাজ ঠাকরেকে নোটিস পাঠায় তাঁর রবিবারের জনসভা নিয়ে। ওই সভায় তিনি উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই মসজিদের মাইক ব্যবহার নিয়ে বিতর্কে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছিল। রাজ ঠাকরে বক্তব্য আজানের সময় তারস্বরে মাইক বাজানোর ফলে আশপাশের মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা আজান শুনতে চান না। তাদের জন্য এটা এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়া সন্ত্রাস। এই বক্তব্য তুলে ধরে তিনি দাবি করেন মসজিদ থেকে মাইক খুলে ফেলতে হবে অথবা এমনভাবে শব্দসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে শব্দ বাইরে না যায়। গতকাল ইদের দিন তাঁর দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে। তবে শান্তি রক্ষার স্বার্থে ইদের দিন মসজিদের বাইরে হনুমান চালিশা পাঠ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন কর্মীদের। আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে হনুমান চালিশা পাঠ। যদিও একটু আগে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত টুইটে দাবি করেন, মহারাষ্ট্রে কোথাও বেআইনিভাবে মাইক বাজানো হয় না।