ঘটল দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কিনে নেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্ক। গত ২৫ষে এপ্রিল, সোমবার রাতে ৪,৪০০ কোটি ডলার (অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা)-এর বিনিময়ে এটি কিনে নেন মাস্ক। এদিকে, টুইটারের একক মালিকানা পাওয়ার পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন যে, এবার টুইটারের কার্যপ্রণালীতে বদল আনতে পারেন ইলন মাস্ক। এমনকী, ইলন নিজেও টুইটারকে আরও উন্নত উপায়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সংস্থার কার্যপ্রণালীতে বদল আনতে, টুইটারের সিইও পরাগ অগ্রবাল এবং আইনি প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে ইলন মাস্ক তাঁদের পদ থেকে সরাতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায়, এবার এক বড়সড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন তিনি। এক কথায়, বিনামূল্যে টুইটার ব্যবহার করার দিন এবার শেষ হতে চলেছে।
তবে আপাতত জানা গিয়েছে যে, এখন থেকে সরকার এবং সরকার অধিকৃত সংস্থার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সংস্থার টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে টাকা নেবে এই সংস্থা। যদিও, এই টাকার পরিমাণ খুব একটা বেশি হবে না বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অবশ্য এই মাইক্রোব্লগিং সাইট ব্যবহার করার জন্য কোনোরকম খরচ করতে হবে না। অর্থাৎ তাঁরা পূর্বের মতই বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন টুইটার। এমনকী।, এই সংক্রান্ত তথ্য টুইট করে সামনে এনেছেন বর্তমানে সংস্থার মালিক স্বয়ং ইলন মাস্ক। এই প্রসঙ্গে তিনি টুইটে লেখেন যে, “সাধারণ মানুষের জন্য টুইটার সব সময়ই বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে আসবে। যদিও, সরকার, সরকার অধিকৃত সংস্থা এবং বাণিজ্যিক সংস্থার ব্যবহারকারীদের জন্য টুইটার ব্যবহার করতে অল্প খরচ বহন করতে হতে পারে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টুইটারের কার্যপ্রণালী নিয়ে বরাবরই একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। পাশাপাশি, টুইটারে মানুষের বাকস্বাধীনতা যথেষ্টভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না বলেও বারংবার দাবি করেন তিনি। যদিও, এর কারণ হিসেবে এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের একাধিক মালিকানা থাকাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। যদিও, বর্তমানে টুইটারের সম্পূর্ণ মালিকানা রয়েছে ইলনের কাছে।