পরীক্ষায় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লিখলে হয়ত ফুলমার্কস পাওয়া গেলেও যেতে পারে। সহজ নয় কিন্তু অসম্ভবও নয়। তবে পরীক্ষার ফুলমার্কসের থেকে বেশি পাওয়া কি সম্ভব? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই ঘটেছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এক পড়ুয়া পেলেন ৫৫০! ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে।
শনিবার মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, এক পড়ুয়া ১০০-এ ৫৫৫ পেয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে এবং ভুলের সাফাইও দেওয়া হয়েছে।
যে সমস্ত পড়ুয়ারা নিজেদের খাতা পুনরায় যাচাই করাতে চান, তাদের আগামী ১০ মে-র মধ্যে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কলেজগুলিতে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিহারের স্কুল-কলেজের পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরীক্ষার পদাধিকারীদের সাধারণ জ্ঞান শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের।
কলেজের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে, পড়ুয়ারা ক্রমাগত রেজাল্ট বের করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ইতিমধ্যে দুইবার রেজাল্ট বের করার তারিখ পিছনো হয়েছিল। তাড়াহুড়োয় রেজাল্ট বের করতে গিয়েই ভুল হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জামুইয়ের কেকেএম কলেজের পড়ুয়া দিলীপ কুমার শাহ ১০০-এ ৫৫৫ পেয়েছেন। এরফলে তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বরের হার ১০৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, বারহিয়ার একটি কলেজের ছাত্রী সব বিষয়ে পাশ করার পরও তাঁকে রেজাল্টে অনুত্তীর্ণ বলে দেখানো হয়েছে।
নম্বরদাতা ও পরীক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে এই মার্কশিটগুলিতে, অর্থাৎ দু’বার রেজাল্টগুলি যাচাই করা হয়েছে। এরপরও কীভাবে এই ভুলগুলি থেকে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার ডঃ রমাশিস পুর্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গাফিলতি স্বীকার করে নিয়েছেন এবং উত্তরপত্র পুনর্যাচাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার পর রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।