এই প্রথম আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে কোনও মুসলিমকে। সেই প্রসঙ্গেই বাইডেনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকের বিশ্বে মুসলিমদের আমরা অনেক সময়ই নিগৃহীত হতে দেখছি। কখনওই কাউকে তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য নিগ্রহ করা উচিত নয়।”
সারা বিশ্ব জুড়েই আক্রান্ত হতে হচ্ছে মুসলিমদের। হোয়াইট হাউসে। ইদ উদযাপনের সময়ে এমনটাই জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন, আমেরিকাকে প্রতিদিন মজবুত করে তুলছেন মুসলিমরাই। যদিও সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, আমেরিকায় প্রত্যহ সত্যিকারের সামাজিক চ্যালেঞ্জ ও হুমকির সঙ্গে লড়াই করতে হয় মুসলিমদের।
প্রসঙ্গত, বাইডেনের কথায় উঠে এসেছে উইঘুর ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুরবস্থার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”আজকের এই পবিত্র দিনে আমাদের তাদের কথাও ভাবতে হবে, যারা দুর্ভিক্ষ, হিংসা, সংঘর্ষ ও রোগের মুখোমুখি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উইঘুর ও রোহিঙ্গা মুসলমানরাও।”
সেই সঙ্গে আমেরিকার উচ্ছ্বসিত প্রশস্তিও শোনা গিয়েছে বাইডেনের কাছে। তাঁর মতে, বিশ্বে আমেরিকাই একমাত্র দেশ, যা কোনও ধর্ম, জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান নয়, স্রেফ একটা আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। আর মুসলমানরা যে সেদেশকে একটি নিখুঁত দেশে পরিণত করেছেন সেকথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানি গায়ক ও সুরকার আরুজ আফতাব, মহম্মজ মসজিদের ইমাম ড. তালিব এম শরিফ। অনুষ্ঠানের আগে টুইটারে একটি পোস্টে বাইডেন লেখেন, হোয়াইট হাউসে ইদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পেরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সম্মানিত বোধ করছেন। এদিকে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও সকলকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।