নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ— যোগী আদিত্যনাথের আমলে বারবারই সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের দুরাবস্থার কথা। যোগী রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের ওপর সংঘটিত অপরাধের অন্ত নেই।এবার ফের নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। আবারও প্রশ্নের মুখে সে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। এবার কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনে উন্নাওয়ে নার্সকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। ঘটনার নিন্দায় সরব তৃণমূল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি ঘুমোচ্ছে, টুইটে প্রশ্ন ঘাসফুল শিবিরের। যদিও মুখে কুলুপ বিজেপির।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বেসরকারি হাসপাতালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২৫ এপ্রিল ওই বেসরকারি হাসপাতালটির উদ্বোধন হয়। সেখানেই নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন বছর আঠারোর যুবতী। বেসরকারি হাসপাতালে কাজের সুবিধার্থে বেসরকারি হাসপাতালের পাশে একটি ঘরও ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। গত ২৯ এপ্রিল কাজে যোগ দেন তরুণী। ওইদিন নার্সিংহোমে কোনও রোগী ছিলেন না। ওইদিন খুব তাড়াতাড়ি বাড়িও ফিরে আসেন যুবতী। পরিবারের দাবি, রাত ১০টা নাগাদ যুবতীর কাছে নার্সিংহোম মালিকের একটি ফোন আসে। নাইট শিফট করার অনুরোধ জানান তিনি। সেই অনুযায়ী নার্সিংহোমে যান যুবতী।
এরপর শনিবার সকালে হাসপাতালে আসা রোগী পরিবার ঝুলন্ত অবস্থায় নার্সের দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে এসে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। নিহত যুবতীর পরিবারের তরফে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজু করা হয়। যদিও পুলিশ এখনই যুবতীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে তৃণমূলের তরফে টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যোগী আদিত্যনাথ দেখুন মহিলার উপরে হওয়া ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ে কোনও তদন্তই হল না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি ঘুমোচ্ছে?’ শশী পাঁজাও টুইটে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে।