বঙ্গ বিজেপির যেন শনির দশা চলছে! একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই দলের অন্দরে চলছে মুষল পর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। এরই মধ্যে একের পর এক উপনির্বাচন, পুরভোটে হারের মুখ দেখেছে দল। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুোষ জানাতে শুরু করেছে বিভিন্ন ঘটনায় নিহত দলের কর্মী তথা ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যরাও। আজ অর্থাৎ শুক্রবার দলের কিছু ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তার ঠিক আগের মুহূর্তেই দিল্লীতে না যাওয়া শহীদ পরিবারের কিছু সদস্যের প্রশ্ন, বিজেপির তরফে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা পালন করা হল না কেন? এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবাররের সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল। অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত তো হয়ইনি। বরং বিভিন্ন সময়ে সেই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের দলীয় কর্মসূচীতে হাজির করিয়ে রাজনৈতিকভাবে হাতিয়ার করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি রাজনৈতিক সংঘর্ষে বা অন্য কোনও কারণে দলীয় কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেবল রাজনৈতিক স্বার্থেই ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব? সাগর বিধানসভা এলাকার বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী দেবাশিস মণ্ডলের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল। দেবাশিসের দিদি অনিতা সিংহের বক্তব্য, ‘এখনও পর্যন্ত কেউ চাকরি পায়নি।’ আবার মন্দিরবাজার থানার ধনুরহাট অঞ্চলে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত শক্তিপদ সর্দারের পরিবারেরও কেউই চাকরি পাননি। তাঁর স্ত্রী সুজাতা সর্দারের দাবি, ২০১৮ সালে স্বামী খুন হন। কিন্তু চার বছর হতে চলল চাকরি মেলেনি। ছেলের বায়োডাটাও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফল মেলেনি।