মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সত্ত্বর নির্দেশের পরেই বর্ধমানে মিষ্টিহাব চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। আগামী ৬ই মে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মিষ্টি বিক্রেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বর্ধমানের মহকুমা শাসক(উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “আশা করি বৈঠকে সমাধান সূত্র বেরবে।” রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির জয়েন্ট সেক্রেটারি আশিস পাল বলেন, “আমরাও মিষ্টিহাবে ব্যবসা করতে চাই। ওখানে দোকান ভালোই চলবে। কিন্তু মিষ্টি হাবে দূরপাল্লার বাসগুলি থামার ব্যবস্থা করতে হবে। শক্তিগড়ে দোকানগুলির সামনেই বাস দাঁড়ায়। সেখানে ক্রেতার অভাব হয় না। কিন্তু মিষ্টিহাবে বাস না দাঁড়ানোয় বিক্রি হচ্ছিল না। ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।”
পাশাপাশি, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বৈঠকে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন। মিষ্টিহাবটি শহরের বাইরে তৈরি হয়েছে। তাই বাস না দাঁড়ালে ক্রেতার অভাব থাকবেই। মিষ্টিহাবের কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ১০টি বাস বা চারচাকার গাড়ি দাঁড়াতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত মিষ্টিহাব চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা না খুললে সেগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দেওয়া হবে। তারাই সেখানে মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করবে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা স্টলগুলি খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেবেন। তাঁরা রাজি না হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “স্টলগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও সেখানে বিনিয়োগ করেছেন। তাই তাঁদের মতামত আগে গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে।”