এনডিএ-র শরিক হয়েও পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের দাবি জানিয়েছিল তাঁর দল। জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়েও কেন্দ্রকে চাপ দিয়েছিলেন তিনি। আর তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্রমশই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে নীতিশ কুমারের। অন্যদিকে, বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ক্রমশই বাড়ছে, বিহারের রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই তা বোঝা যায়। যেমন সম্প্রতি লালু-পুত্র তেজস্বীর আয়োজিত ইফতার পার্টিতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপরই শাসক-বিরোধী জোট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনাতে ইন্ধন দিয়ে এবার নীতিশ কুমারের আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও হাজির হলেন তেজস্বী যাদব। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার মুখোমুখি হলেন দুই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে যখন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব যে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন, সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো। এই সৌজন্য সাক্ষাতের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে দাবি করলেও, নীতীশের আয়োজিত পার্টিতেও তেজস্বীর দেখা মেলায় ফের একবার নতুন জোটের সম্ভাবনা নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। গতকালের আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তেজস্বী যাদব ও তাঁর দাদা তেজ প্রতাপ যাদবকে নিজেই স্বাগত জানাতে যান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ। শুধু তাই নয়। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে উপমুখ্যমন্ত্রীর আগে তেজস্বী যাদবকেই ‘সাফা’ দেন। অনুষ্ঠান শেষে নীতিশ ফের তাঁদের গাড়িতেও তুলে দিতে যান। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীই অনুষ্ঠান থেকে সবার আগে যান। কিন্তু এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী পথেই হাঁটেন নীতিশ। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।