ওড়িশি নৃত্যশিল্পী গুরু মায়াধর রাউতের বয়স ৯০ ছাড়িয়েছে। পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সেই শিল্পীকেও সরকারি আবাসন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। সেই মতো বুধবারই সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। যা দেখে কেন্দ্রের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। কয়েক জন এখনও দিল্লির সরকারি আবাসন আঁকড়ে রয়েছেন। তবে তাঁদেরও ২ মে- মধ্যে ছাড়তে হবে ঘর। কিন্তু কেন শিল্পীদের এভাবে ঘরছাড়া করছে কেন্দ্র?
মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম এমন সর্বোচ্চ ৪০ জন শিল্পীর জন্য থাকার বন্দোবস্ত করতে পারে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ১৯৮৭ সালে ২৮ জন শিল্পীকে সরকারি আবাসনে থাকার ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন সরকার। তার পর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমান সরকারের দাবি, ওই শিল্পীদের ২০১৪ সালে সরকারি আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তার পরেও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। উলটে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরু মায়াধর রাউত, শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী রীতা গঙ্গোপাধ্যায়, মোহিনীনাট্যম শিল্পী ভারতী শিবাজি, কুচিপুরী শিল্পী গুরু ভি জয়রাম রাও, মায়াধার রাউতরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এপ্রিলের শেষে তাঁদের সরকারি আবাসন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো ঘর ফাঁকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে শিল্পী জয়রাম রাওয়ের স্ত্রী বনশ্রী রাও জানান, ‘আমরা ঘরের জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করেছি। এই সরকারে আমাদের একটা কথাও শুনতে রাজি নয়। খুব শীঘ্রই আমরা ঘর ফাঁকা করে দেব’। উল্লেখ্য, ৮ নামী শিল্পীকে ২ মের মধ্য সরকারি আবাসন খালি করার নোটিস ধরিয়েছে মোদী সরকার। সরকারের দাবি, বহু বছর আগে শিল্পী কোটায় সরকারি আবাসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু সেই আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছিল ২০১৪ সালেই। তার পরেও তাঁরা সরকারি আবাসন ছাড়েননি বলে অভিযোগ।