হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা! বুধবার টুইটারে এমনই মন্তব্য করে দেশ জুড়ে শোরগোল ফেলে দিলেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন! তার টুইট দেখার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। ইতিমধ্যেই অজয়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কর্ণাটকের বিরোধী নেতারা। তাঁদের দাবি, অজয় দেবগন বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেছেন।
যেমন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া অজয় দেবগনের মন্তব্যে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেছেন, হিন্দি কখনই ভারতের রাষ্ট্রভাষা ছিল না। অন্যদিকে, জনতা দল (সেকুলার) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী সরাসরি অজয় দেবগনকে বিজেপির মুখপাত্র বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘অজয় দেবগন বিজেপির হিন্দি জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেছেন, যে জাতীয়তাবাদ এক দেশ, এক ট্যাক্স, এক ভাষা এবং এক সরকারের কথা বলে।’
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। একটি অনুষ্ঠানে কন্নড় অভিনেতা সুদীপ সঞ্জীব বলেন, হিন্দি কখনই আমাদের রাষ্ট্রভাষা নয়। সম্প্রতি কন্নড় ছবি ‘কেজিএফ ২’-র দেশজোড়া সাফল্যের প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেন সুদীপ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই টুইটারে অজয় কন্নড় অভিনেতার উদ্দেশে লেখেন, ‘যদি হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রভাষা নাই হয়ে থাকে, তবে তোমরা কেন তোমাদের মাতৃভাষায় বানানো ছবি হিন্দিতে ডাব করে তবেই রিলিজ করো? হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রভাষা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
পরে অবশ্য অজয় আরেকটি টুইটে লেখেন, আমি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সবসময় এক ভেবেছি। আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি এবং আশা করি বাকিরাও আমাদের ভাষাকে একইভাবে সম্মান করবে। মনে হয়, অনুবাদে কিছু হারিয়ে গিয়েছিল। যদিও অজয়ের এই টুইটের পরেও বিতর্ক থামেনি। শুধু বিনোদন জগতেই নয়, বিতর্ক আছড়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলেও। অনেকেই সরাসরি অভিযোগ করছেন, বিজেপি যেভাবে হিন্দি ভাষাকেই দেশে প্রধান ভাষা হিসেবে তুলে ধরতে চায়, অজয়ের গলাতেও সেই সুর ধরা পড়েছে।