ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা ঔপনিবেশিক জমানার। সেই সময় ব্রিটিশ বিরোধী কন্ঠস্বরকে দমিয়ে দিতে এই আইন প্রয়োগ করা হত। এমনই দাবি করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে আজকের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে আজ হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চায় কেন্দ্র। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় এই সপ্তাহ শেষের আগেই হলফনামা জমা দিতে। মে মাসের ৫ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে গতবছর অবসরপ্রাপ্ত সেনা মেজর-জেনারেল এস জি ভোম্বাটকেরে এবং এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া পৃথক দুটি আবেদন দায়ের করে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে। মামলাকারীর অভিযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আদতে সংবিধানের ১৯(১)(এ), ১৪ এবং ২১ এই তিন অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
আবেদনকারীদের দাবি, ১২৪(এ) ধারাটি সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করা উচিত। মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফেও কেন্দ্রকে বলা হয়, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা ঔপনিবেশিক জমানার। সেই সময় ব্রিটিশ বিরোধী কন্ঠস্বরকে দমিয়ে দিতে এই আইন প্রয়োগ করা হত। মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকদের মতো মানুষদের বিরুদ্ধে তা প্রয়োগ করা হত।’ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইন প্রয়োজন রয়েছে?’