বুকের বাঁদিকে চার তারা খচিত সাদা-কালো জার্সি। আর কয়েক মাস পর যা গায়ে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে নামবে জার্মানির ফুটবল দল। এবার সেই জার্সি গায়ে চাপিয়েই জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে তাঁর বাড়ি মজদুর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, ‘জানিই না কার জার্সি! বাইরে তো এসব পরা হয় না। বাড়িতে পরি। স্নান করে উঠে এটা আজকে পরলাম।’ অনেক সময়ে দেখা যায় বাড়িতে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে থাকলে তাঁর পোশাক বাবা গলিয়ে নেয়। আর অর্জুনের ছেলে পবন সিং তো বিধায়ক। তাঁকে এও জিজ্ঞেস করা হয়, জার্সিটা ছেলের নাকি? জবাবে অর্জুন বলেন, ‘না না। এটা আমারই। আমার দুই মেয়ে রয়েছে। ওরাই এসব আমার জন্য কিনে আনে।’
প্রসঙ্গত, জার্মানি মানে পাওয়ার ফুটবল। কিছুটা রোবোটিক। আরও একটা ব্যাপার রয়েছে। জার্মানি ভক্তরা বলেন, ‘আমরা হারার আগে হারি না। শেষ পর্যন্ত লড়ি।’ বুধবার সকালে সেই টিমের জার্সি গায়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে অর্জুন এমন সব মন্তব্য করলেন, যা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে অর্জুন হয়তো বলতে চাইছেন ‘খেলা হবে।’ পাট শিল্পের রুগ্ন দশা, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিহীনতা নিয়ে দু’দিন আগে সরব হয়েছিলেন অর্জুন। দিল্লীতে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মুণ্ডপাত করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। এদিনও তা নিয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে বললেন এই বিজেপি নেতা। সেইসঙ্গে জুট কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলে দিলেন।
তাঁর সাফ কথা, এই পাটশিল্পকে তিলে তিলে মারা হচ্ছে। প্লাস্টিক লবিকে সুযোগ করে দিতে পরিকল্পিত ভাবে এটা করা হচ্ছে। একদিকে পাট চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে পাট শিল্প ধুঁকছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি বন্ধ হওয়ার মুখে। অর্জুন যখন এসব কথা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে তুলে ধরছেন চটকল শ্রমিকদের প্রতি তাঁর নাড়ির টানের কথা, তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, তৃণমূলে ফিরবেন নাকি? তারই কি সলতে পাকানো শুরু হচ্ছে? দু’দিন আগে দিল্লীতে বলেছিলেন, ‘যাওয়ার হলে আমি অন দ্য স্পট ডিসিশন নেব।’ আর এদিন বললেন, ‘একদিনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’ যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত অনেকের।