‘বিদ্রোহ আজ, বিদ্রোহ চারিদিকে’।বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা দেখে এই গানটাই গুনগুন করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রবিবার রাতেই বিজেপির গ্রুপ ছেড়েছেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, নন্দীগ্রামের সাহেব দাস। সোমবার সকালে খবর পাওয়া গেল, জেলা বিজেপির হোয়াটসগ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, রবিবারই তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির তরফে ৪২টি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে একাধিক পুরনো মণ্ডল সভাপতি বাদ গিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, সেখানে জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে, বাকিদের বিশেষ করে পুরনোরা তেমন ভাবে স্থান পাননি৷ এরপরই বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু, ময়নার বিধায়ক অশোক এবং নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন।
যদিও এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া যায়নি৷ তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দলের মধ্যে গোলযোগ থাকার জন্যই তাঁরা সাংগঠনিক গ্রুপ লেফট করেছেন৷ এর আগেও একের পর এক এই ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে৷ এবার খোদ শুভেন্দু অধিকারীর গ্রুপ ত্যাগ শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিজেপিতে।
দলের অন্দরের খবর, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই অনেকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল৷ দলের অভ্যন্তরে কোন্দলও সৃষ্টি হয়েছিল৷ বিধায়িকা তাপসী মণ্ডল থেকে শুরু করে আরও অনেকের সঙ্গেই একটা চাপানউতোর চলছিল৷ এরপর রবিবার তালিকা প্রকাশের পর সেই কোন্দল প্রকাশ পায় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷