গ্রামে মন্দির তৈরির জন্য দলিত যুবককে ৫০০ টাকা চাঁদা চেয়েছিল সরপঞ্চ। কিন্তু রোজগার না থাকায় তিনি তা দিতে পারেননি। আর এই ‘অপরাধের’ শাস্তি হিসাবে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে ওই দলিত যুবককে থুতু ছিটিয়ে নাকখত দেওয়ানো হল। হেনস্তা করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যার কেন্দ্রপাড়া জেলার তিখরি নামের এক গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার তিখরি গ্রামের এক দলিত যুবকের সঙ্গে এই লজ্জাজনক কাণ্ডটি করা হয়েছে। ওই নির্যাতিত যুবক নিজের সামান্য সংস্থান থেকে গ্রামের পুজোয় মূর্তি কেনার জন্য চাঁদা দিয়েছিলেন। তার উপর আবার মন্দির তৈরির জন্য ৫০০ টাকার চাঁদা চায় স্থানীয় সরপঞ্চ চামেলি ওঝা।
ওই দলিত যুবক জানিয়ে দেন, দিন কয়েক আগেই তিনি পুজোর চাঁদা দিয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে মন্দির তৈরির টাকা দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু ওই সরপঞ্চ তাঁকে জোর করতে থাকে। শুরু হয় কথা কাটাকাটি এবং বচসা। অভিযোগ, সেই বচসার পরই দলিত যুবকের বিরুদ্ধে খাপ পঞ্চায়েত বসায় অভিযুক্ত সরপঞ্চ।
একতরফা বিচার করে নিদান দেওয়া হয়, নিজেই থুতু ছিটিয়ে তার উপর নাকখত দিতে হবে ওই দলিত যুবককে। সেই মতো গ্রামবাসীরা জোর করে ওই ঘৃণ্য কাজটি তাঁকে করতে বাধ্যও করেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, এ হেন ঘটনার কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
লাঞ্ছিত এবং অপমানিত ওই যুবক থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও সেই অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকারও করে। রবিবার থেকে টানা অভিযোগ জানানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ওই দলিত যুবক। শেষে মঙ্গলবার গিয়ে অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ।