বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনি তৈরি নিয়ে ক্রমশ আশার আলো দেখছে নবান্ন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে দেউচা-পাঁচামি নিয়ে পোল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সেই আলোচনা ইতিবাচকই হয়েছে। সরকারের হাতে বর্তমানে ১ হাজার একর জমি রয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলগুলি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন জটিলতা তৈরির চেষ্টা করেছে। তবুও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
প্রসঙ্গত, দেউচা-পাঁচামিতে তৈরি হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি৷ এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের৷ রাজ্য সরকারের এই কয়লা খনি-বন্দর প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ যদিও ইতিমধ্যে দেউচা-পাঁচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। তাদের সঙ্গে সম্প্রতি নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের ৯ জন প্রতিনিধি বৈঠকে ইতিবাচক কথাও বলেন।