গত রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলায় দাঙ্গা বাধে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুক্রবার পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বললেন, কাশ্মীরী পণ্ডিতরা যখন উপত্যকা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন, তখন মুসলিমরা ছিলেন ‘নীরব দর্শক’। সেজন্য তাঁদের দোষারোপ করা হয়। কিন্তু ভারতের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় এখন যেভাবে নীরবতা পালন করছে, তাও অপরাধজনক।
খারগোনে দাঙ্গার সময় কয়েক ডজন বাড়ি ও বাইকে আগুন লাগানো হয়। এরপরে রাজ্য প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, যারা দাঙ্গায় জড়িত ছিল, তাদের বেআইনি বাড়িগুলি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। বুলডোজার ব্যবহার করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মেহবুবা বলেন, ‘বিজেপি উৎসাহের সঙ্গে ভারতের সংবিধানের ওপরে বুলডোজার চালাচ্ছিল। সেই বুলডোজার এখন সংখ্যালঘুদের দরজায় এসে পৌঁছেছে। বিজেপি নেতারা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুসলিমদের বাসস্থান, জীবিকা ও সম্মান হরণ করছেন’।
বুলডোজার ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, যারা গরিবদের ওপরে অত্যাচার করে, তাদের বাড়ি কি গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দাঙ্গায় যাদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে, মামা তাদের বাড়ি ফের বানিয়ে দেবে। যারা বাড়ি পুড়িয়েছে, তাদের থেকেই খরচ আদায় করা হবে’।