শাহবাজ, ফকরু এবং রউফ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গত ৫ মার্চ থেকে জেলে রয়েছে এই তিনজন। এপ্রিলে রামনবমীর সময় মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দাঙ্গায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে শাহবাজদের নাম। অর্থাৎ দাঙ্গার আগে থেকে যারা জেলে বন্দী আছে, তাদের নামেও দাঙ্গা করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এরপরে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।
শাহবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ১০ এপ্রিল একটি মোটর বাইকে আগুন ধরিয়েছিল। যে থানায় মার্চে তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল, এপ্রিলে সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে স্কুটারে আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশকর্তাদের প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, যে ব্যক্তির বাইক পোড়ানো হয়েছে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরে শাহবাজদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার মনোহর সিং বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। জেল সুপারিনটেনডেন্টের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে’। শাহবাজের মা সাকিনা বলেন, দাঙ্গার সময় তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসেছিল। আমার ছেলে দেড় মাস আগেই বন্দী হয়েছে। একটা মারামারির ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছিল। দাঙ্গার সময় পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে বার করে দেয়’। সাকিনার বক্তব্য, তাঁরা পুলিশকে বলেছিলেন, শাহবাজ দাঙ্গার আগে থেকেই জেলে আছে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কথায় কান দেয়নি। তারা শাহবাজের ছোট ভাইকেও ধরে নিয়ে গিয়েছে।