এবার ঠিকাদারের মৃত্যুতে বিতর্ক আরও দানা বাঁধল বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। আগেই রাজ্যের গ্রামন্নোয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল মৃত ঠিকাদারের পরিবার৷ তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছে কংগ্রেসও৷ ঈশ্বরাপ্পা প্রথমে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে তিনি ইস্তফা দিতে রাজি৷ কিন্তু বুধবারই তিনি তাঁর অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করবেন না৷ এবার তাঁর ইস্তফার দাবিতে বৃহস্পতিবার উত্তাল হল বেঙ্গালুরু৷ মন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন রণদীপ সুরজেওয়ালা, ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া৷ মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের৷ কিন্তু অনেক আগেই পুলিস কংগ্রেস নেতাদের আটকে দেয়৷ নাছোড় সিদ্দারামাইয়ারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু পুলিশ প্রথমে তাঁদের আটক ও পরে গ্রেফতার করে৷
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকালে উদুপির একটি লজ থেকে উদ্ধার হয় সন্তোষ পাতিল নামে এক ঠিকাদারের দেহ৷ তাঁর মৃতদেহের কাছেই মেলে একটি সুইসাইড নোট৷ সেখানে তিনি মন্ত্রী ঈশ্বারাপ্পাকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন৷ সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামোন্নয়ন দফতরে ৪ কোটি টাকার একটি কাজের বরাত পেয়েছিলেন সন্তোষ৷ অভিযোগ, ওই ৪ কোটি টাকার উপর ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা৷ সুইসাইড নোটে সন্তোষ পাতিল লিখেছেন, ‘মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা একমাত্র আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ আমার সব আশা-আকাঙ্খাকে সরিয়ে এই চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছি৷ হাতজোড় করে আমি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং বাকিদেরও বলছি, আমার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখবেন৷’ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে৷
