বাড়ির বাগান, ডাইনিং কিংবা বাগান থেকে উদ্ধার হল পচাগলা দেহ। এসব কবর আকছার শোনা যায় ইদানিং। এরকমই ঠিক আরও একটি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটল হাবড়ায়। ঘরের মেঝে থেকে এবার উদ্ধার স্বয়ং পুলিশ কর্মীর বৃদ্ধ বাবার পচা-গলা দেহ উদ্ধার। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া হাট থুবা ঘোষ পাড়া এলাকায়। মৃত বৃদ্ধের নাম সত্য রঞ্জন দে। বয়স ৬১। হাবড়া থানার পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করল বৃদ্ধের পচা-গলা দেহ। এরপর খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশে কর্মরত একমাত্র ছেলে বান্টি দে’কে।
হঠাৎ দুর্গন্ধ বের হতেই সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। এর পরে জানালা দিয়ে দেখতে পায় সত্যরঞ্জন দে’র পচা-গলা দেহ মেঝেতে পড়ে আছে, সঙ্গে সঙ্গে হাবরা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের পাশপাশি সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি রুমকি সরকার গুহ রায়।
তবে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খুন নাকি অভিমান থেকে আত্মহত্যা নাকি অসুস্থতা থেকেই মৃত্যু? এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাবড়া থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এর পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে বারাসত হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ ঘরে একা থাকলেও পাশের ঘরে থাকত কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছেলে বান্টি দে ও তাঁর পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই পারিবারিক ঝামেলা হত বাবা এবং ছেলের মধ্যে।
এমনকী বাবাকে মারধরের মতো ঘটনাও তারা স্বচক্ষে দেখেছেন দিনকয়েক আগেও। বুধবার সকালেও বাইকে করে ছেলেকে যেতে দেখেছেন, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তার কিছু সময় পরেই দুর্গন্ধ পায় বাসিন্দারা।