বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে সবচেয়ে ঝক্কি হয় তার পরিবারের। দুশ্চিন্তার পাহাড় নেমে আসে মাথায়। ডাক্তার ঔষধ হাসপাতাল ছোটাছুটি নাজেহাল অবস্থা। এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পৌঁছালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য কোথাও। তাতেও বাড়ে ঝক্কি। কোথাও হয়ত বেড নেই। ঔষধ নেই।
ইমার্জেন্সি পেশেন্ট এবং তার বাড়ির লোকের হয় জেরবার অবস্থা। এমন অনিশ্চয়তা দূর করতেই এবার হাসপাতালেচালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন। ‘রোগী রেফার’ নির্মূল করতে স্বাস্থ্য ভবনের চিঠি পেয়েই তুমুল তৎপরতা হাসপাতালে। তৎপরতা জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে। রবিবার ছুটির দিন। কিন্তু তার মধ্যেই জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা হাসপাতালগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। স্পষ্ট করে দেন সরকারের অবস্থান। তার ভিত্তিতে সতর্ক করা হল ৯০টি হাসপাতালকে।
রেফার সমস্যা মেটাতে সব হাসপাতালে চালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন। সেই প্রেসক্রিপশন চলে আসবে মেডিক্যাল সুপারের কাছে। যে হাসপাতালে রোগীকে রেফার করা হবে সেখানে যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে।
ফোন করে জানাতে হবে রোগীর নাম, রোগ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের ভিডিও কনফারেন্স করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও গাফিলতি হালকাভাবে নেওয়া হবে না।
রেফার সমস্যা মেটাতে সব হাসপাতালে চালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন। যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, ঔষুধ ও সাজসরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও রোগী রেফার হলে দায়ী থাকবেন ডেপুটি সুপার পদের এক আধিকারিক। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগে রোগী এলেই ই-প্রেসক্রিপশন চালু হবে।