গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে জল্পনা কল্পনা কম হয়নি। কখনও তার পুরনো প্রেমিক। কখনও শ্বশুরবাড়ির লোক। কখনও স্বয়ং স্বামী। হ্যাঁ স্বামীই। আবারও তেমন এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বনগাঁর এলাকাবাসী। গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে স্বামীকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গণধোলাই দিল জনতা।
বাইশ বছরের এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ওই বধূর স্বামীকেই খুনি হিসেবে দাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতা তাঁকে আক্রমণ করে, গণধোলাই দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার শক্তিগড় নরোত্তমপল্লী এলাকায়। মৃতের নাম প্রিয়া সেন। বাইশ বছর বয়স। তাঁর স্বামী রথিন সেন পেশায় বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হলে এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
খুনের অভিযোগ তোলা হয় রথিনের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলেও খবর। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি, এমনকি ওই আইনজীবীর বাইকও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। এবং আইনজীবী ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসে।
তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁ থানার শক্তিগড় নরোত্তমপল্লী এলাকায়। মৃত প্রিয়া সেন ও তাঁর স্বামী রথিন সেনের দু’বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। রথিন জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। থানায় নিয়ে গিয়ে রথিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।