গত বিধানসভা ভোটের আগে স্থানীয় আবেগকে অগ্রাধিকার দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙে বানার হাট ব্লক ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর গত ডিসেম্বর মাসের শেষে সভাপতি নির্বাচন হয়। সেই সময়ে সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের বহুদিনের নেত্রী সীমা চৌধুরী।
ডুয়ার্সের দেব পাড়া চা বাগানে জন্ম সীমার। এরপর তিনি দেব পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরে বানারহাট হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, ছোট থেকেই পরোপকারী সীমা।
চা বাগানে ডানপিটে মেয়ে বলে সবাই চিনত। পরে রাজনীতিতে নামেন। ডুয়ার্সের বানার হাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সীমা রোজ নিয়ম করে তাঁর দফতরে নিজেই ঝাড়ু দেন। তার পর অফিসের কাজ শুরু করেন।
ব্লক গঠন হলেও এখনও কর আদায় শুরু হয়নি বানার হাট পঞ্চায়েতে। তা ছাড়া তহবিলের অভাবে কর্মী নিয়োগও বিশেষ হয়নি। এভাবে ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে সীমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘ছোট বেলা থেকে আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির সব কাজ করতাম। বিয়ের পর থেকে নিজের বাড়ি নিজেই পরিষ্কার রাখি। এখন এটাও আমার একটা বাড়ি। তাই নিজের ঘরে নিজেই ঝাড়ু দিচ্ছি।’
তৃণমূলের একেবারে প্রথম দিনের কর্মী তিনি। এক সময়ে মহিলা তৃণমূলের জেলার দায়িত্বে ছিলেন সীমা। পরবর্তীকালে ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব পান। সেই দায়িত্ব পেয়ে সীমা বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরেছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর পাশাপাশি সেই কাজ এখনও করেন সীমা।