নবরাত্রি উপলক্ষে মঙ্গলবার দিল্লীর বেশ কয়েকটি অংশে মাংসের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পৌর কর্পোরেশন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সরব হয়েছেন জেকেএনসি নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তাঁর বক্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ যদি দক্ষিণ দিল্লীর জন্য ঠিক হয় তাহলে তা জম্মু-কাশ্মীরের জন্যও সঠিক হওয়া উচিত।
নবরাত্রি চলাকালীন মাংস বিক্রি থাকবে দিল্লীতে৷ সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ দিল্লীর মেয়র। ২ এপ্রিল নবরাত্রি শুরু হয়েছে। চলবে ১১ এপ্রিল অবধি। দক্ষিণ দিল্লী পুরসভার নির্দেশমতো মঙ্গলবার থেকেই মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রাখা হবে।
নির্দেশিকায় দক্ষিণ দিল্লী পুরনিগমের তরফে বলা হয়েছে, ‘নবরাত্রির সময় মানুষ মন্দিরে গিয়ে নিজেদের এবং পরিবারের জন্য ভগবানের আশীর্বাদ নেয়৷ এই সময় মানুষ পেয়াঁজ- রসুনও খাওয়া থেকে বিরত থাকেন৷ ফলে এই কয়েকদিন প্রকাশ্যে বা মন্দিরের কাছে মাংস বিক্রি হওয়ার দৃশ্যও এড়িয়ে যেতে চান তাঁরা’৷
এরপরই সরব হন ওমর আবদুল্লাহ। উৎসবকে সামনে রেখে পৌর কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন এই নেতা। টুইট করে ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা বলেছেন, ‘রমজানে আমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খাই না। আমার মনে তাহলে প্রতিটি অ-মুসলিম মানুষকে তখন জনসমক্ষে খাওয়া থেকে বারণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিল্লীর জন্য ঠিক হয় তাহলে সেটা জম্মু-কাশ্মীরের জন্যও ঠিক’।