করোনার প্রথম ধাক্কায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পরিপূর্ণ ভাবে রেল পরিষেবা। তবে করোনার ধাক্কা সামলে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। এবার পুরোপুরি পরিষেবা দিতে জোর দিচ্ছে ভারতীয় রেল। একাধিক পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বেডরোল থেকে শুরু করে ফিরেছে একাধিক ট্রেনও। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকটি ট্রেনের লাইনে ফেরার নাম নেই! সেই তালিকাতেই রয়েছে দিঘা-পুরী যাওয়ার বিশেষ কয়েকটি ট্রেন।
পর্যটকদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রেন ছিল সমুদ্র কন্যা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রত্যেক রবিবার ট্রেনটি দিঘা থেকে ছুটত পুরীর দিকে। আবার শনিবার পুরী থেকে রওনা দিত দিঘার উদ্দেশ্যে। বহু বঙ্গবাসী এই একটি ট্রেনে করেই দিঘা থেকে পুরী সফর করতে যেতেন, পরে ফের ফিরে আসতেন কলকাতায়। কিন্তু লকডাউনের প্রথম থেকেই সেই যে ট্রেনটি উধাও হল, আর লাইনে আসেনি।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন প্রান্ত সহ ভিনরাজ্যের পর্যটকদের সমাগম তেমন চোখে পড়ছে না। কারণ ট্রেন রয়েছে তুলনায় কম। ফলে সড়কপথেই দিঘা পৌঁছতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যার জন্য পর্যটক সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সমস্যায় পড়েছেন হোটেল ব্যবসায়ী ছাড়া দিঘার নানা ছোট দোকানদার ও গাড়ি চালকেরাও।
শুধু দিঘা-পুরী যাওয়ার ট্রেন না, দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাধারণ মানুষের কাছে। সেটি হল হলদিয়া-চেন্নাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে করে বহু মানুষ চেন্নাই-ভোলোরে চিকিৎসার জন্য যেতেন। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে এই ট্রেনের পরিষেবাও। যার জেরে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাধারণ মানুষকে।
উল্লেখ্য, দিঘা-পুরী সাধারণ মানুষের কাছে ছুটি কাটানোর অন্যতম আকর্ষণ। রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল হতেই দীর্ঘদিন পরে সাধারণ মানুষ ঘুরতে যেতে চাইছেন। বিশেষ করে জেলার মানুষের পক্ষে হাওড়া বা শিয়ালদা এসে ট্রেন ধরতে হচ্ছে। যা তাঁদের পক্ষে সমস্যার।