ট্রেনে বাসে রাস্তাঘাটে প্রায়ই দেখা যায় বৃহন্নলাদের। তাদের মধ্যে কিছুজনের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বচসাও বাঁধে কারুর কারুর। তেমনই আরও একবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। অশ্রাব্য গালিগালাজ, কয়েন ছুড়ে যাত্রীদের আহত করার চেষ্টা। এমনই অভিযোগ উঠল বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। টাকা চেয়ে না মেলায় যাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন একদল বৃহন্নলা। অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সোনারপুর-শিয়ালদা লোকাল যাত্রী। সোনারপুর জিআরপি-র দ্বারস্থ হয়েছেন যাত্রী।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, প্রহৃত দুই ট্রেন যাত্রীর নাম সুজন হালদার ও স্নেহলতা হালদার। কলকাতার বালিগঞ্জের কসবা এলাকার বাসিন্দা এঁরা সম্পর্কে ভাই-বোন। সোমবার বিকালে আপ শিয়ালদহ লোকালে বৃহন্নলাদের দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় এঁদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই বৃহন্নলার বিরুদ্ধে। দু’জনেই গুরুতর জখম হয়েছেন। সুভাষগ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্নেহলতা হালদার জানান, মা, মামি ও ভাই সুজনের সঙ্গে তিনি লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে সোমবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের আপ শিয়ালদহ লোকাল ধরেন বাড়ি ফেরার জন্য। সুভাষগ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝে দুই বৃহন্নলা ট্রেনে ওঠে। তাঁরা অন্য যাত্রীদের মত তাঁদের কাছেও টাকা চায়। স্নেহলতার মা ১০ টাকা দেওয়ায় তাঁরা নিতে অস্বীকার করে এবং আরও টাকার দাবি জানায়।
তাদের দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় ওই দুই বৃহন্নলা তাঁদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। সুজন প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই দুই বৃহন্নলা। ভাইকে মার খেতে দেখে স্নেহলতা এগিয়ে এলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্নেহলতার কথায়, “আমরা চারজনে একসঙ্গে থাকায় ৫০ টাকা চেয়েছিল। মা ১০ টাকা দিলে ওঁদের পছন্দ হয়নি। ওঁরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জানলার ধারে বসে থাকা আমার ভাইয়ের মাথা ঠুকে দেয়।
আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সোনারপুরে এলে পুঁতে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। এরপর সোনারপুর স্টেশনে ট্রেনটা ঢুকতে শুরু করলে একজন মাসির হাতে থাকা কয়েন আমাকে ছুড়ে মারে। আমার কপাল কেটে গিয়ে রক্ত বেরোয়। এরপর ওঁরা সোনারপুরে নেমে যায়।” বৃহন্নলার ছোড়া কয়েনের আঘাতে ট্রেনের আরও কয়েকজন যাত্রী কম-বেশি আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ।