কাশ্মীরের মজা এবার উত্তরবঙ্গে! ডাল লেকের মতো মিরিকের লেকেও চলবে শিকারা। এমনই ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে লেক সহ সমগ্র মিরিককে সাজিয়ে তুলতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুপ্রাচীন মিরিক লেক বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষত, যাঁরা প্রথমবার দার্জিলিঙে যান, তাঁদের মিরিক লেক দেখা না হলে যেন ঘোরাটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। সুন্দর ছবির মতো চা-বাগান, জনপদ, লেক সহ মিরিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নেহাত কম নয়। তবু যেন কিছুটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটকদের কাছে এটি ‘দুয়োরানি’ হয়েই রয়েছে।
তাই এবার সেই বদনাম ঘুচিয়ে মিরিককে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মিরিকের সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে দার্জিলিঙের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকি তাঁর সফরসঙ্গী, দুই মন্ত্রীকেও মিরিক পরিদর্শনে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন মিরিক পরিদর্শনে যান। তাঁরা লেক, চা বাগান সহ সমগ্র মিরিক ঘুরে দেখেন। তারপর কোথায়, কী সৌন্দর্যায়ন করা যায়, সে ব্যাপারে পুর চেয়ারম্যান এলবি রাই স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা মন্ত্রীদের জানিয়েছেন, কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো মিরিকের লেকেও শিকারা চালানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিরিকের লেকে শিকারা চললে স্থানীয়রা যেমন উপার্জনের এক নতুন দিশা পাবেন, তেমনই পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণ আরও বাড়বে। ফলে মিরিকের পর্যটন ব্যবসা জমে উঠবে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই দাবি খারিজ করে দেননি মন্ত্রী মহোদয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। মিরিকের বর্তমান পর্যটন অবস্থা ও কীভাবে আরও সৌন্দর্যায়ন করা যায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দার্জিলিঙে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেন তাঁরা। এবার কলকাতায় ফিরেই মিরিককে সাজিয়ে তোলার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করবেন বলে সূত্রের খবর।