দেশব্যাপী বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মোদী বিরোধী মুখ, এমনটাই মত প্রবীণ আইনজীবী তথা কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মোদী-শাহ রথকে একা হাতেই রুখে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে মোদী বিরোধী মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। দেশের নানা প্রান্তের বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্য নিরলসভাবে লড়ে চলেছেন মমতা। সমমনস্ক দলগুলি এক মঞ্চে আসলেই বিজেপি বিরোধী লড়াই সম্ভব। এবার সেই একই তত্ত্ব শোনা গেল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথাতেও।
বিজেপির বিরোধী লড়াইয়ের প্রসঙ্গে তিনি আজ একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘দেশের এখন অবিজেপি বিরোধীদের প্রয়োজন, এটাই সময়ের আহ্বান। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইতে অবিজেপি শক্তিগুলির স্তম্ভ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লড়াই প্রত্যেকটি বিজেপি বিরোধী দলকে অতিসক্রিয় হয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী ভোট ভাগ আটকাতে হবে’।
প্রসঙ্গত, বিগত এক বছর ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; এই একই কথা বলে চলেছেন। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো যদি নিজেদের লড়াইটা সঠিকভাবে লড়তে পারেন, তবেই বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব। কংগ্রেস সাংসদ টুইটে আরও যোগ করেন, ‘বিজেপি, তার শ্রেষ্ঠ জয়ের সময়ও; কখনওই দেশে ৩৯ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। তাই মমতা এবং বিরোধী শক্তিগুলোকে বিজেপির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে’।
বলাইবাহুল্য, একমাত্র ঐক্যবদ্ধ লড়াইতেই বিজেপিকে দেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব। কিন্তু অবিজেপি শক্তিগুলোর নেতৃত্বে থাকবে কে? এ প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সাংসদের এই টুইট ফের একবার জল্পনা বাড়িয়ে দিল! সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনীতিক; সকলেই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বের ভূমিকায় চাইছেন।