পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের এলাচ পাওয়া যায় বাংলার কালিম্পঙে। সেখানে অবস্থিত দুটি গ্রাম তাংদা এবং তোদে। এখানেই সবচেয়ে বড় আকারের এলাচ পাওয়া যায়। সাধারণত এই এলাচের রং হল হালকা গোলাপি। এবার রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে উপকৃত হয়েছেন কালিম্পঙের ১২০ জন এলাচ চাষি।
সম্প্রতি এলাচ শুকনো করার জন্য সেখানে ড্রাই মেশিন বসিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ফলে এলাচের রং পরিবর্তন না হয়েই সেগুলি শুকনো করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রথম গোলাপি রঙের এলাচ রফতানি করতে চলেছে সেখানকার চাষিরা।
কিন্তু, চাষিরা যেভাবে এলাচ শুকনো করে থাকেন তার ফলে কালো রঙের হয়ে যায় এই সুগন্ধি এলাচ। ফলে তার দামও বিশ্ববাজারে অনেকটাই কমে যায়। এই এলাচের রং কালো হওয়ার কারণ হল-কৃষকরা কাঠের আগুনের সাহায্যে এই সমস্ত এলাচ শুকনো করে থাকেন। এখানে সর্বোৎকৃষ্ট এলাচ উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও দাম না মেলায় এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমস্যার সমাধানে সেখানে চাষিদের নিয়ে একটি সমন্বয় গোষ্ঠী তৈরি করে ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেখানে বসানো হয়েছে ড্রাই মেশিন। তার মাধ্যমেই এখন এলাচ শুকনো করছেন চাষিরা। এর জন্য কয়েকজন কৃষককে প্রযুক্তিগত শিক্ষার জন্য অরুণাচলে পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, এই মেশিন বসানোর জন্য খরচ হয়েছিল কুড়ি লক্ষ টাকা।
দুটি গ্রামের চাষিরা এখন এই মেশিন ব্যবহার করতে পারছেন। আগে যেখানে এলাচ শুকনো করতে ২-৩ দিন সময় লাগত। এখন প্রতিদিন তিন হাজার কেজি এলাচ এখানে শুকনো করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হল এই মেশিনের সাহায্যে শুকনো করা এলাচের রঙে কোনও পরিবর্তন আসে না। কৃষকদের আশা এর ফলে তারা এবার এলাচের ন্যায্য দাম পাবেন।