এবার ভারতের কর্ণাটকের হিজাব-কাণ্ডের ছায়া পড়ল সুদূর বাহরিনেও। হিজাব পরে রেস্তোরাঁয় এসেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু মুখ ঢাকা থাকায় তাঁকে ঢুকতেই দেওয়া হল না ভারতীয় রেস্তোরাঁয়। আর এই কাণ্ডের পরই সাড়ে তিন দশক পুরনো ভারতীয় রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাহরিনের পর্যটন মন্ত্রক। যদিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চেয়েছে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি।।১৯৮৭ সাল থেকে বাহরিনের আদলিয়ায় ব্যবসা করছে এই ভারতীয় রেস্তোরাঁ। এলাকায় বেশ সুনামও রয়েছে। অভিযোগ, হিজাব পরিহিতা এক মহিলাকে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা দেন ম্যানেজার। এর পরই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্দিকে ওঠে নিন্দার ঝড়।
তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নিয়ে বাহরিনের টুরিজম অ্যান্ড এক্সজিবিশন অথোরিটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় রেস্তরাঁ। শুরু হয় তদন্ত। পাশাপাশি, অন্যান্য রেস্তরাঁকে দেশের নিয়ম মেনে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়। বিটিইএ-এর তরফে জানানো হয়, “মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে কিংবা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়ের পরিপন্থী এমন যে কোনও ঘটনা বিপক্ষে আমরা। তাই সকলকে দেশের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষমা চায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। দুঃখপ্রকাশ করে তারা লেখে, “তদন্তের ভিত্তিতে আমাদের ডিউটি ম্যানেজারকে সাসপেন্ড করেছি। তাঁর ভুলেই এটা ঘটেছিল। গত ৩৫ বছর ধরে এই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছি আমরা। আমাদের রেস্তোরাঁয় সকলকে সাদর আমন্ত্রণ। তাঁদের আপ্যায়ণ করতে আমরা সর্বদা তৈরি।” এমনকী, ২৯শে মার্চ বাহরিনের নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তার পরেও চিড়ে ভেজেনি। রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলেই জানিয়েছে বাহরিনের পর্যটন মন্ত্রক। পাশাপাশি, দেশের অন্যত্র এ ধরনের সমস্যায় পড়লে সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে তারা।