দু’শো বছরের বেশি পুরনো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে গিয়েছে। বোর্ডের অধীনে থাকা ৪১টি অর্ডন্যান্স কারখানাকে সাতটি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থার আওতায় আনা হয়েছে। কলকাতায় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের জায়গায় যে ডাইরেক্টরেট অফ অর্ডন্যান্স তৈরি করা হয়েছে সেটি সমন্বয় এবং পরিষেবার কাজ করবে। তবে কলকাতার অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। তাঁর জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্পোরেটাইজেশনের পর দেশজুড়ে ৭টি সদর দফতর তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে প্রতিরক্ষা উৎপাদন বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই ৭টি সদর দফতর চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলে জবাবি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাজনাথ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির বেসরকারিকরণের পথে অনেকটাই এগিয়েছে মোদী সরকার। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে দিয়ে সাতটি সরকার অনুমোদিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে সেই সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা। সাতটি যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলি উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে দফতর করা হলেও, এ রাজ্যে একটিও করা হয়নি। বিশেষজ্ঞমহলের বক্তব্য, সরকার যেহেতু কোনও বোর্ড বিক্রি করতে পারে না, সেই জন্য বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া হিসেবে আগে বোর্ড ভেঙে গিয়ে সংস্থা করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সারা দেশের মোট ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে এই সাতটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থা। প্রত্যেকটির আলাদা দায়িত্ব থাকবে। সেই মতো কাজ করবে তারা।