বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ফলকনুমা এক্সপ্রেস। বেলদা স্টেশনের কাছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসের পিছনের ৩টি বগি খুলে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। প্রায় ১ কিমি এগিয়ে যাওয়ার পরে থামল ট্রেন। ফের বগি জুড়ে ৪৫ মিনিট পরে রওনা দেয় ফলকনুমা এক্সপ্রেস। এই ঘটনার জন্য আপ-ডাউন ২টি লাইনেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। কাপলিং খুলে যাওয়াতেই বিপত্তি, জানালেন গার্ড।
জানা গিয়েছে, ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেসে এই ঘটনাটি ঘটে। এদিন সেকেন্দ্রাবাদ থেকে হাওড়ার দিকে আসছিল এই ট্রেন। ট্রেনের শেষদিকের ৩টি বগি যার মধ্যে রয়েছে দুটি জেনারেল বগি এবং একটি এসি বগি বাকি ট্রেন থেকে খুলে যায়। খুলে যাওয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকে ওই ৩টি বগি। অন্যদিকে ইঞ্জিন সহ বাকি কামড়া এগোতে থাকে। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ট্রেন। গার্ড এবং চালকের নজরে আসে এই ঘটনা। এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেনটা দাঁড় করানো হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার এসে বাকি সব কামরার সঙ্গে ওই তিন কামরা জুড়ে দেন। প্রায় ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? ইতিমধ্যেই যা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। যে ইঞ্জিনিয়াররা বাকি বগি ট্রেনের সঙ্গে জুড়েছেন তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করছেন। যে রিপোর্ট দক্ষিণ-পূর্ব রেল সহ রেলের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কী সমস্যা হচ্ছিল? শেষ কবে বা কখন ইঞ্জিন সহ বাকি বগির যে কানেক্টর, তাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রশ্নের ভিত্তিতে জানা যাবে, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল। এর আগে চলতি বছর ১৩ই জানুয়ারি বিকেল ৫টা নাগাদ উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির দোমহনি এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় পটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনের একাধিক কামরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ইঞ্জিনের পর থেকে ট্রেনের ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি কামরা জলে গিয়ে পড়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।