সামনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই আবহেই রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা ভেবে ভোট পিছনোর দাবি উঠেছে। রাজ্যের তরফেও এই আবেদন জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই কমিশন সূত্রে খবর। ১২ই এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এদিকে ২ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ১১ এবং ১৩ এপ্রিলও রয়েছে পরীক্ষা। ফলে মাঝে ১২ তারিখ ভোট হলে সমস্যা হবে। কারণ স্কুলে-স্কুলে ভোট কেন্দ্র হয়। তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দেবাশিস কুমার। সেই বৈঠকে ভোট পিছনোর আর্জি জানান। রাজ্যের তরফেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তবে ভোট পিছোনর কোনও পরিকল্পনা কমিশনের নেই বলে সূত্রের খবর। কারণ, একই দিনে আরও তিন রাজ্যে ভোটের দিন ধার্য হয়েছে। এদিনে ভোটের আবহে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা মেটানো নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের আধিকারিকরাও। আগামী ১২ই এপ্রিল এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ ১৬ই এপ্রিল। এছাড়া ১২ তারিখ উপনির্বাচন হবে ছত্তিশগড়, বিহার, মহারাষ্ট্রের মোট তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই সমস্ত জায়গায় শনিবার থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ আসনে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর আসনে বসেন তিনি। কিন্তু ২০২১এর নভেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে বালিগঞ্জ আসনটি আপাতত বিধায়ক শূন্য। সেখানেই নতুন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে ১২ তারিখ ফের ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন বালিগঞ্জবাসী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার আসানসোল বাসীর মন জয় করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। পরে বিজেপি ছাড়েন বাবুল। ছাড়েন সাংসদ পদও। সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দেন বাবুল।