আজ, বুধবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এদিন দুপুরের মধ্যেই পরিস্কার হয়ে যাবে ফলাফল। বেশিরভাগ বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় ফলাফলের যে আভাস মিলেছে তা শেষ পর্যন্ত মিলে গেলে জাতীয় রাজনীতিতেও বহু রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে। বদল ঘটতে পারে মোদী বিরোধী রাজনীতির অভিমুখের। মোদীকেও বদলাতে হতে পারে মিশন ২০২৪ -এর অভিমুখ।
সবচেয়ে বড় যে রেকর্ডটি তৈরি হতে পারে আজ তা হল, পাঞ্জাবে আপ সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা পেয়ে গেলে। এই মুহূর্তে দেশে বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দল একটির বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় নেই। বাংলা ও ত্রিপুরায় আর সিপিএমের সরকার নেই। কর্ণাটক হাতছাড়া হওয়ার পর জনতা দল ইউনাইটেডও আছে শুধু বিহারে।
উত্তরপ্রদেশে আজ বিজেপি সরকার টিকিয়ে রাখতে পারলে সেখানেও হবে রেকর্ড। গত চল্লিশ বছর ওই রাজ্যে কোনও সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এই চার দশকে বছরে অন্তত সাতজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সেখানে। বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, আসন কমলেও যোগী সরকারই থেকে যাবে হিন্দি বলয়ের বৃহত্তম ওই রাজ্যটিতে।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে গতবার বিজেপি জোট ৩২৫ আসন জিতেছিল। তারমধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩১২ আসন। এবার আসন অনেকটাই কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বেশিরভাগ বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফল। বিজেপির আসন যেতে পারে সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে। আভাস অনুযায়ী তারা একশোটির বেশি আসন অতিরিক্ত পেলে রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও বিরাট পরিবর্তন আসন্ন।
সেই সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে পাঞ্জাবের ফল থেকেও। ওই রাজ্যে আপ সরকার গড়ে ফেলতে পারলে বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ হয়ে উঠতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আসছে নভেম্বরেই ১০ বছর পূর্ণ করবে দলটি। হালে কোনও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এত দ্রুত দুটি রাজ্যের দখল পায়নি।
অন্যদিকে, বুথ ফেরৎ সমীক্ষা অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নিজের রেকর্ডই শুধু ভাঙতে চলেছে তাই নয়, হাত পুরোপুরি শূন্য থাকাও অসম্ভব নয়। গতবারই কংগ্রেসের আসন সাতে নেমে এসেছিল, যা ছিল ওই রাজ্যে কম আসন পাওয়ার রেকর্ড।
২০০০ সালে উত্তরপ্রদেশ ভেঙে তৈরি উত্তরাখণ্ডেও পাঁচ বছরের বেশি কোনও দলের সরকার টেকেনি। ওই রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েও কিছু বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় এগিয়ে রেখেছে বিজেপিকেই। আবার, ট্রেন্ড দেখে গোয়ায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভার আভাস মিলছে। এদিকে বাংলার শাসক দল তৃণমূল এবারই প্রথম গোয়ার ভোটে লড়াই করেছে। আসন কিংবা ভোট, যত কমই পাক সেটাই তাদের লাভ।