উত্তর প্রদেশ-সহ চার রাজ্যে বিজেপি-র প্রত্যাবর্তনের জন্য কংগ্রেসকেই দুষল তৃণমূল৷ একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের দাবি, মাত্র তিন মাসের চেষ্টায় গোয়ায় যে ফল হয়েছে তা সন্তোষজনক৷ কংগ্রেসের উদ্দেশে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পরামর্শ, এবার কংগ্রেসের আয়নায় মুখ উচিত৷
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে পাঞ্জাব ছাড়া সর্বত্রই বিজেপি-র ক্ষমতায় ফেরা কার্যত নিশ্চিত৷ ২০১৭-র তুলনায় আসন কমলেও উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ কুণাল ঘোষের দাবি, বাংলায় তৃণমূল যা করে দেখিয়েছে তা চেষ্টা করেও করতে পারেননি অখিলেশ যাদব৷ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাতেও একই ভাবে ছলচাতুরি ক্ষমতার বলে দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি৷ বাংলা যা পেরেছে, অন্যরা চেষ্টা করেও তা করতে পারেনি৷ বিজেপি-কে চোখে চোখ রেখে হারাবার ক্ষমতা তৃণমূলেরই আছে৷’
পঞ্জাবের ফল নিয়ে কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা, সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস দুই দলকেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ বিকল্প শক্তি না থাকাতেই সেখানে মানুষ আপকে বেছে নিয়েছেন বলে জাবি করেছেন তৃণমূল নেতা৷ গোয়াতে এমজিপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেছিল তৃণমূল৷ তৃণমূল খাতা না খুললেও তৃণমূলের জোটসঙ্গী এমজিপি বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছে৷ সরকার গঠনেও তারা বড় ভূমিকা নিতে পারে৷ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোয়ার ফলে খুশি৷ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘গোয়ায় মাত্র তিন মাস আমরা পা রেখেছি৷ তার পরেও যা ফল হয়েছে তা সন্তোষজনক, অন্তত একটা ছাপ রাখা গিয়েছে৷’ যদিও এমজিপি বিেজপি-কে সমর্থন করবে কি না তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি কুণাল ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘আমরা বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ এমজিপি কী করবে তাদের ব্যাপার৷’
তবে সার্বিক ভাবে বিজেপি-র সাফল্যের জন্য কংগ্রেসের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন কুণাল ঘোষ৷ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘কংগ্রেস দাবি করে তারাই নাকি প্রধান বিরোধী দল৷ অথচ বার বার বিজেপি-কে আটকাতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা৷ এবার কংগ্রেস আয়নায় মুখ দেখা উচিত৷ সমস্ত কংগ্রেস নেতা কর্মীদের বলব আপনারা জোটবদ্ধ হন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কংগ্রেস ঘরানার যে নেতানেত্রীরা মানুষের আস্থা, ভরসা অর্জন করতে পেরেছেন, তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূলের সঙ্গে থেকে একজোট হয়ে বিজেপি-কে হারান৷’ একই সঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, এই ভোটের ফলাফল দু’ বছর বাদে লোকসভা নির্বাচনে পড়বে না৷ একই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমও৷