এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন) হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই মেয়াদে শিল্পায়নই তাঁর মুখ্য লক্ষ্য। এবারের বিজিবিএস নিয়ে তাই বাড়তি তৎপরতা রয়েছে নবান্নের। সপ্তাহ দুয়েক আগে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে সেখানকার শিল্পপতি ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এবার একই ভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়েও বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব। আগামী বৃহস্পতিবার এই বৈঠক হবে নবান্ন সভাঘরে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ওই প্রস্তুতি বৈঠকে একটি অংশে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও অ্যাম্বাস্যাডরদের সামনে বাংলার শিল্প বিষয়ক বিভিন বিষয় তুলে ধরা হবে। যার উদ্দেশ্য, বিদেশি বিনিয়োগ টেনে আনা।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে শিল্প সম্ভাবনার বিষয়ে চা, আনারস থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, পাথর খাদান – ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছিল। বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে কলকাতা লাগোয়া দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পপতি ও চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদের।
দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে বিপুল পরিমাণ সবজি চাষ হয়। ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থা ভাঙড়ের সবজি বিদেশে রফতানি করা শুরু করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, নবান্ন চাইছে এটাকেই একটা সার্বিক রূপ দিতে। তা ছাড়া আলু নিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে বাম জমানা থেকেই সরকারি স্তরে ভাবনা ছিল। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, হুগলি নদীর দুপারে যে আদি শিল্পের পরিকাঠামো রয়েছে, যা বহুদিন ধরেই জং পড়ে আগাছায় ঢেকে গিয়েছে সেখানে বিকল্প কী করা যায় সে ব্যাপারেও রুট ম্যাপ খুঁজতে চাইছে রাজ্য সরকার।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এবারের বিজিবিএসে সামগ্রিক বাংলার সম্ভাবনা তুলে ধরতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণেই সমস্ত জেলার শিল্প সম্ভাবনা সম্পর্কিত রিপোর্ট মজুত করছে রাজ্য সরকার।