ফের বিলগ্নীকরণের সম্ভাবনা? এবার দেশের প্রায় এক হাজার ঐতিহ্যশালী ভবন ও স্মৃতিস্তম্ভ তুলে দেওয়া হতে পারে বেসরকারি এবং অসরকারি সংস্থার হাতে। এমনই ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রক। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দেশে ইতিহাসের আকর হিসাবে আছে এমন হাজার খানেক হেরিটেজ বিল্ডিং ও মনুমেন্ট প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির অবস্থা ভাল নয়, ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। সংস্কৃতিমন্ত্রকের ‘মনুমেন্ট মিত্র’ প্রকল্পের ভাবনা হল এগুলি আগ্রহী বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওর হাতে তুলে দেওয়া। ওই সব সংস্থা বিধি মেনে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে। চালু করবে জন পরিষেবার নানা সুবিধাদি। এই ভাবে ভোলবদল করানো গেলে সেগুলিতে পর্যটকদের যাতায়াত বাড়বে। বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যও। হবে কর্মসংস্থান।
এ বিষয়ে এক অফিসার জানান, দেশের সব রাজ্যেই এই ধরনের ঐতিহ্যশালী ভবন ও স্মৃতিস্তম্ভ আছে। অনেকগুলি ভবন পারিবারিক। সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না আর্থিক কারণে। দৃষ্টান্ত হিসেবে এক অফিসার বলেন, দিল্লীর ‘পুরানা কিল্লা’, ‘সফদরজং টম্ব’ ইত্যাদির কথা, যেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ নয়। ২৪টি স্মৃতিস্তম্ভ বেসরকারি হাতে হস্তান্তরের কথা ভাবা হয়েছে পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা মাথায় রেখে। এর মধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ আছে। বাংলার কোনও ঐতিহ্যবাহী বাড়ি কিংবা কারও স্মৃতিস্তম্ভ হস্তান্তরের কথা এখনও ভাবা হয়নি। তবে এ রাজ্যে এমন ভবন ও স্মৃতিস্তম্ভ কম নয়। গৌড়ের অনেক ঐতিহ্যশালী অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই দশা মুর্শিদাবাদের। রাজ্যের নানা প্রান্তে থাকা বহু মন্দির, মাজার, মসজিদ, গির্জা আছে যেগুলির সংস্কার দরকার। সেগুলি নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুমুল। তবে থাকা এবং যাতায়াতের সুবিধার অভাব রয়েছে।
