একুশের ভোটে ভরাডুবির পর একের পর এক উপনির্বাচন, পুরভোটেও হারের মুখ দেখতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই ১০৮টি পুরনিগমের ভোটের আগে বিজেপির অন্দরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল শীর্ষনেতারা নিজেদের গড় রক্ষা করবেন। কিন্তু মুখের কথা প্রতিফলন আর কাজে দেখা গেল না। প্রচারে নিজেদের গড়ে উত্তাপ তুঙ্গে তুললেও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ভোটের দিন পাওয়াও গেল না কাঁথি শহরে। সন্ধ্যের পরে কাঁথি থানায় এসে হম্বিতম্বি করলেন। আর রবিবাসরীয় নির্বাচনে সারাদিন খড়গপুরের রেল বাংলোতেই থাকলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
পুরসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু কাঁথিতেই বাড়তি সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন উধাও হয়ে গেলেন অধিকারী বাড়ির মেজোছেলে। আবার শান্তিকুঞ্জের অভিভাবক শিশির অধিকারী ভোট দিয়ে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হন। আসলে তিনি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তাই গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বুঝে গিয়েছেন যে, গড় ধরে রাখা যাবে না। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য খড়গপুর শহরেই ছিলেন। সারাদিন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থেকে ফোনে নানা নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের। কিন্তু তাতেও বিরাট কোনও ফসল যে ঘরে ওঠেনি সেটা টের পেয়েছেন তিনি। উপরন্তু নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে দিলীপের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়।
