এবার সমস্ত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে বাংলার তৃণমূল সরকারের মতো পেনশন নীতি চালু করতে চান রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের পরে ছত্তীসগঢ়েও পুরনো পেনশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা নিয়ে দিল্লীতে নিজের বাসভবনে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অশোক গেহলট ও ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও হাজির ছিলেন। রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের পরে অন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও তা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে যেতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। উত্তরপ্রদেশ ভোটের ইস্তাহারেও তা বলে রেখেছে হাত শিবির।
প্রসঙ্গত, বাজপেয়ী সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পুরনো পেনশন ব্যবস্থা তুলে দিয়ে এনপিএস (ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম) বা নতুন পেনশন ব্যবস্থা চালু হয়। নতুন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের অবসরের পরে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেনশনের গ্যারান্টি থাকে না। পেনশন তহবিলে প্রতি মাসে জমা অর্থ শেয়ার বাজারে লগ্নি করে যে আয় হয়, তা থেকেই পেনশন দেওয়া হয়। তবে রাজ্যের পেনশন খরচের বোঝা কমে যায়। ২০০৪-এর ১ জানুয়ারির পর থেকে সেনা বাদে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্যই এই পেনশন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ধাপে ধাপে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এনপিএস চালু করেছে। ব্যতিক্রম বাংলা। বাম সরকার এতে রাজি হয়নি। তৃণমূল জমানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অবস্থানে থেকেছেন।
গত সপ্তাহে রাজস্থানের বাজেট পেশের সময়ে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালু করার ঘোষণা করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। যুক্তি ছিল, সরকারি কর্মচারীদের মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস হাইকমান্ড চাইছে, এবার ভূপেশ বাঘেল ছত্তীসগঢ়েও একই নীতি ঘোষণা করুন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের যুক্তি, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে সম্প্রতি পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালুর দাবি উঠেছে। কারণ শেয়ার বাজারের উপরে তাঁদের পেনশন নির্ভর করবে দেখে অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে রাজ্যের লক্ষাধিক শিক্ষক পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালু করার দাবি তুলেছেন। অখিলেশ যাদব পুরনো পেনশন ব্যবস্থা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারি শিক্ষকদের ভোটও কুড়োচ্ছেন। কংগ্রেসও একই কৌশল নিতে পারে।