সোমবার থেকেই শুরু ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এদিন দুপুরে বইমেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমেই রাজ্য পুলিশের স্টলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরো স্টলটি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন তিনিই বইমেলার উদ্বোধন করবেন। এ বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম বাংলাদেশ। ফলত উদ্বোধনী মঞ্চে রয়েছেন এপার-ওপার দুই বাংলার বিশিষ্ট লেখক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
করোনা কাঁটা পেরিয়ে আবারও আয়োজন হয়েছে বইমেলার। আনন্দের সঙ্গেই মেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন বই বিক্রেতারা। আগের দিনই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামায় ক্ষতিগ্রস্থ অনেকেই। এক স্টল মালিকের বলেন, ‘আমরা সবে বইগুলি গাড়ি থেকে নামিয়ে স্টলে রাখতে শুরু করেছি। এমন সময়ে বৃষ্টি শুরু হলো। তবে আমরা খুব তাড়াতাড়ি সব বই স্টলের ভিতরে ঢুকিয়ে নিতে পেরেছি।’
মেলার আয়োজক, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের এক কর্তার কথায়, ”বৃষ্টি আরও জোরে হলে সমস্যায় পড়তে হতো স্টল মালিকদের, কারণ মেলার ইনশিওরেন্স করা থাকে উদ্বোধনের দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত। প্রস্তুতির এই দিনগুলির জন্য কোনও বিমা থাকে না।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বার প্রায় দু’বছর বাদে বইমেলা হচ্ছে। তাই, এই বছর বইমেলাকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনাও অনেক বেশি থাকবে বলেই মনে করছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য বারের তুলনায় এই বছর দর্শকও অনেক বেশি আসবেন বলে তাঁরা মনে করছেন। প্রতি বারের মত এই বছরও মেলা লাগোয়া বেশ কয়েকটি ফাঁকা জমিতেই করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আগে যে সব জায়গা নেওয়া হতো, সেগুলির পাশাপাশি আরও কিছু জায়গা সেই জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজন মতো সেগুলিও ব্যবহার করা হবে। এই বছর বইমেলায় ৬০০-রও বেশি স্টল হয়েছে। তা ছাড়াও রয়েছে ২২০টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল। আজ, সোমবার শুরু হয়ে বইমেলা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।